রেজাউল করিম (রকি), কক্সবাজার :
সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়া, জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ স্বল্প আয়ের। খেটে খাওয়া এসব সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রাখতে পারছে না।বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ নানারকম সমস্যায় জর্জরিত, তার ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সবার জীবনেই নেমে এসেছে চরম হাতাশা।

দ্রব্যমূল্যের জন্য কারা দায়ী ,এ প্রশ্নে অনেকের দাবী  বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা! তাদের ৫-৬ লক্ষ মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হচ্ছে বাড়তি দ্রব্য। তা ছাড়া আরো অনেক কারণ আছে , এর মধ্যে মজুদদারী আর ফলন দায়ী।

রোহিঙ্গারা আসার আগে দ্রব্যমূল্য ছিল মরিচ ৪০-৫০, চাল ৪০, মাংশ ৪০০-৪৫০, তেল ১০০, কাচা তরকারি ২০-২৫ টাকা কেজি। বর্তমান দ্রব্যমূল্য মরিচ ২৫০, চাল ৬০, মাংশ ৫৫০, তেল ১১০, কাচা তরকারি ৬০-৭০ টাকা কেজি। পর্যাপ্ত যোগান মাথায় রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের এখনই মাঠে নামা দরকার। তা ছাড়া সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনমনে যে অসন্তোষ দানা বেঁধে না উঠে নজর দেয়া জরুরী। সাধারণ মানুষ আশা করেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।